শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০০৮

সো আপাতত বিদায়। ফিরে আসবো খুব শীঘ্রই।

কাল থেকে নেট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, আমার বি এস সি ইন্জীনিয়ারিং-এর শেষ টার্মের পরীক্ষা শুরু হবে ১০ জানুয়ারী থেকে। গর্তে ঢুকে যেতে হবে। এরপর কি হবে....তবে এ কয়েকদিন নেটের জগত হতে দূরে থাকতে হবে। বিষেশ করে ব্লগিং। জিনিসটা নেশা ধরায় দিছে।

সো আপাতত বিদায়। ফিরে আসবো খুব শীঘ্রই।

বিস্তারিত পড়ুন...

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০০৮

ঈদের আগের দিন-রাত ১০টায় গাবতলী হাটে.......

ঈদের পর ভারী পেট নিয়া ব্লগ লিখতে আলস্যবোধ করিতেছি.....যাই হোক...ঘটনা হইলো ঈদের আগের দিন। আমাদের গরু বিকালের দিকে তালতলা হতে কেনা শেষ। বিকালেই আবার ধানমন্ডি স্কুলের সামনে হতে একটা খাসিও কিনা হলো।

তালতলায় গরু কেনার সময় আমি যাই নাই। শুধু গরু বাসার নিচে আসলে তার ফুটু খিচি। অবশ্য ছাগলা কেনার সময় আমি গেছিলাম আব্বুর সাথে।

সমস্যা হইলো সন্ধ্য সাতটার দিকে। আমার ছোটকাক্কু ফোন কইরা জানালেন তাদের এখনো গরু কেনা হয় নাই। কারন কাক্কু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ছোটকাক্কুরা থাকে আদাবর। আব্বুকে ডাকতেছেন, গরু কিনতে যাওয়ার জন্য। আবার সারাদিন গরু আর খাসি কিনার ধকলের পর আব্বুও টায়ার্ড। তাই যাইতে হলো আমাকে। আর গিয়াই পড়লাম বাটে।

যাইয়া দেখি কাক্কু ভীষণ অসুস্থ । আমি ভাবছিলাম হয়তো সিনিয়ার কেউ যাবে গরু কিনতে আর পিছে পিছে হয়তো যামু আমি। কিন্তু গিয়া দেখি কেউই নাই। শুধু আমাদের দেশের বাড়ি থেইকা আসা একজন ভদ্রলোক নাম রানা, আর কাক্কুদের ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া এক ভদ্রলোককে আমার সাথে দেয়া হলো। আমি ঢোক গিললাম। আর ২৫০০০ টাকা দেয়া হইলো যে মুটামুটি ছোটখাট একটা গরু কিন্না নিয়া আসার জন্য। কাক্কুর বাসা হইতে বাড়াইতে বাড়াইতে সাড়ে আটটা বাইজা গেল।

প্রত্থমে গেলাম তালতলা, যাইয়া দেখি হাট ফাঁকা। ছোট গরু নাই। কিছু বড় বড় গরু আছে যেইগুলার দাম পচিঁশ হাজারের ধারে কাছেও না। ব্যাচেলর ভদ্রলোক বললেন উপায় নাই গাবতলী যাইতে হবে। আমি বলিলাম তথাস্তু।

গাবতলী যাবার পথে সেরাম জ্যাম। হাটের কিছুদুর আগে নাইমা হাটা দিলাম। হাটে পৌছাইলাম তখন প্রায় সোয়া দশটা বাজে। এইখানেও ছোটগরু নাই। যে কয়টা আছে সবগুলা ইতিমদ্যে দালালের হাতে গ্যাছে গা। যেইটার দাম জিগাই কয় বেয়াল্লিশ- পয়তাল্লিশ। আমি আর কত নামায়া কমু। গলা জরাইয়া কানের কাছে মুখ নিয়া কই আঠারো। ব্যাটারা আমারে তো পাত্তাই দেয় না, কয় তিরিশের উপরে উঠতে পারলে কইয়েন। রানা সাহেব আবার গরুর দাত-দুত চিনেন। আমি আর আরেকজন চিনি না। এই দাতের লাইগা চার-পাঁচটা গরু ছাইড়া দিলাম। এক বিক্রেতারে বিড়ি দিয়া আলাপ জমাইয়া প্রায় বিশ মিনিট পর আবিষ্কার হইলো গরুর দাতে প্রবলেম। আমি রানা সাহেব রে বললাম, কুরবানী হইবো কিনা কন, হইলে নিয়া নেই দামে বনছে। কিন্তু রানা সাহেবের ভেটোতে নিতে পারলাম না। সব নেগোশিয়েশন পানিতে গেল।আর আরেক ভাইজান তো অস্থর হইয়া গেছে পারলে যে কোন একটা কিন্নাই যায় গা, হে দেখলাম রানা সাহেবের উপর ত্যাক্ত। হের দাত সংক্রান্তু ভেটোতে চার-পাঁচটা গরু ছাইড়া দিতে হইছে। মাঝখানে একটা টি ব্রেক লইলাম, বাদাম খাওয়া হইলো আর বিস্কুট।

রাত বাড়টা বাজে গরু পাই না। দাম তো আগের মতোই ৪০-৪৫-এর কম কেউ কয় না। এদিকে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিয়া যাই নাই বইলা আমার অ্যাপেক্স্রের স্যান্ডেল আর জিন্স ক্যাদা-গোবর দিয়া একাকার। গরু পাড়াও খাইছি মাশাল্লাহ। অবশেষে প্রায় পৌনে একটার দিকে এক বিক্রেতার লগে হালকা আলাপে বুঝলাম হে বেচবো। তারে মামা, আঙ্কেল কইয়া ত্যালাইলাম। গলা জড়াইয়া ধইরা ফিস ফিস কইরা দাম কষাকষিতে নামলাম। বিড়ি-বুড়ি খাওইলাম( নেগোশিয়েশনে বিড়ি একটা চমৎকার জিনিস!!!)। প্রায় আধা ঘন্টা কুস্তাকুস্তি কইরা দাম ২৫-শে ঠিক হইলো। একটা রাখাল লইলাম ১৫০ টাকায়। আমি তো খুশি। চাচিরে ফোন দিয়া জানাইলাম।

কাহিনী হইলো হাসিলে। হাসিল হইলো হাজারে পন্চাশ। ২৫ হাজারই ছিলো আমার কাছে সব গরু ওয়ালারে দিয়া দিলাম। কইলাম হাসিল এর থাইকা দেন আমাদের কাছে টাকা নাই। সে রাজিই হইলো না। কি আর করা আমার মানিব্যাগ ঘাইটা রাড়াইলো ৭০০, ব্যাচেলর ভাই দিলো ৫০০, রানা সাহেব দিলেন ২০০ আরো খুচরা খাচরা মিলাই দেখি ৭০ টাকা শর্ট। কি করুম হাসিলে কইলাম কিছু কম রাখা যাইবো নাকি। তারা মাথা নাড়ে, যাইবো না। তারপর রাখালরে ধরলাম কইলাম আপনে ১০০ দেন, গরু বাড়ি পৌছাইলে দিয়া দিমু। সেও তো রাজি হয় না। বহুত ক্যাচাকেচি কইরা অবশেষে রাখালের কাছ থাইকা ৫০ টাকা লইয়া মানিব্যাগের সর্বস্য ঢাইলা হাসিল ক্লিয়ার কইরা বাইড় হইলাম। রাত তখন দেড়টা।

পুরা পথ হাইটা আসলাম। মেজাজ চরম খারাপ। বিড়ি খাওনের পয়সাও মানি ব্যাগে নাই। পুরা ত্যাক্ত। সবারই মানিব্যাগ খালি হইয়া গেছে।

রানা সাহেবের মেজাজ তখনও খুব ভালো, তিনি কইতাছেন তোমাগো এইখানে সব হইলো ব্রিটিশ, দাতই হয় নাই গরু গছাইবার চায়। আমি শালার আরেক ব্রিটিশ। হে হে.........আর কেউ গরুর দাম জিগাইলেই তিনি উৎসাহব্যান্জ্ঞক স্বরে উত্তর দ্যান টোয়েন্টি ফাইফ, টোয়েন্টি ফাইভ।

বাসায় আসলাম রাত ২ টার পর। পরদিন সকাল ৮টায় আবার ঈদের জামাত। আর এরপরেরটা না হয় পরেই শুনলেন।
(বি:দ্র: আমি এর আগে কখনো নিজে গরু কিনি নাই....)

বিস্তারিত পড়ুন...

শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০০৮

আমি আপাতত নরমাল

গতকাল রাতে দুঃসাহসী কাজটি করার পর মাথা আউলাইয়া গেছে। এখন আস্তে আস্তে পরিষ্কার হচ্ছে। আজকে বুয়েট গেলাম। দেন সেখান হতে মোবাইল মার্কেট রেকি করে আসলাম। আগামীকাল ইনশাল্লাহ একটা নিউ মোবাইল কিনবো....কোরবানী ঈদ সামনে, ৯ তারিখ।

আমি আপাতত নরমাল........................কুল


বিস্তারিত পড়ুন...

সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০০৮

আজিকের টি এস সি ভ্রমন.................

সকালে উঠিয়াই নীলক্ষেত যাইতে হইবে ভাবিয়া মনটা ব্যাজার ছিলো। সারারাত নেট খেলিবার পর সকালে ঘুম থাকিয়া উঠা একটু বেদনাদায়কই বটে। তবুও মোবাইলে তীক্ষ্ণ এলার্ম বাজাইয়া উঠিলাম। ঘুমন্ত চোখে প্রাকৃতিক কার্য সারিয়া, দুটি মুখে দিয়াই বাহির হইলাম।

রাজপথে আসিয়া দেখি কাহারু, সময় সকাল ৯ ঘটিকা। আজিকা মনে হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। বাসে পুরাই তো কাহারু। তারপরেও উপূর্যপরি শক্তিপ্রয়োগ করিয়া বাসের গেটে বিপদজ্জনক ভাবে ঝুলিয়া নীলক্ষেতে পৌছাইবার পর মনে হইলো, এমনি করিয়া নিত্যদিন যাতায়াত করিলে ৩২-এর শতায়ু সংঘের সাহিত যোগ ব্যায়ামের প্রয়োজন নাই।
(বিরতী........)

ইতিমধ্যেই আমার শুভাকাঙ্খী ফোন করিয়া জানাইলেন আজ নাকি টি এস সি তে কনসার্ট আছে। আমি পেনাং এ টাকিমাছের ভর্তা, চালকুমড়া ভাজি, ডাল সহকারে চারি প্লেট ভাত গলঃকরন করিত, বেনসন ফুকিতে ফুকিতে হৃষ্টচিত্তে টি এস সিতে গিয়া পৌছাইলাম। তখন বিকাল চার ঘটিকা। অর্থনৈতিক সংকটে থাকার দরুন উন্নতমানের আমিষ লইতে পারি নাই।

ঢাকা ভার্সিটির নারীগন আমার হৃদয়ে অনেক পূর্বাভাগ হইতেই দোলা দেয়।বুয়েটে অধ্যয়নের দরুন ঢাকা ভার্সিটির প্রমিলাদের সংস্পর্ষ অনেকটা অধরাই রহিয়া গ্যাছে। টি এস সি একটি অদ্ভুত বৈচিত্রময় জায়গা বলিয়া আমার কাছে বোধ হয়। খোলা মাঠে বসিয়া কি রকম উচ্ছল আড্ডা চলিতেছে!! কোথাও কতিপয় বালক বালিকা গোল হইয়া বসিয়া নাটকের মহড়া করিতেছে, কবিতা পাঠ করিতেছে। কোথাও বা সবাই হাতে তালি দিয়া গান করিতেছে। কোথাওবা দেয়ালে হেলান দিয়া দুই কপোত কপোতি ভাব-ভালোবাসা করিতেছে। আর এরিমাঝে কতিপয় বালক তিনপাত্তি খেলিতেছে, আর ধুম্রপান করিতেছে। যদিও টি এস সি অভ্যন্তরে ধুমপান নিষেধ।

কনসার্টটা জমিলো না। আসলে ইহা কনসার্ট না।যে শুভাকাঙ্খী ফোন করিয়া জানাইলেন আজ টি এস সি তে কনসার্ট আছে, তাহাকে একচোট লইলাম। ক্লোজআপ ওয়ানের গায়ক গায়িকা আনিয়া এইটি একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যামাত্র।

আজ পহেলা ডিসেম্বর এইডস দিবস বলিয়া সবাই কে "নিজেকে জানো" বলিয়া একটি যৌনশিক্ষার একটি পুস্তিকা ধরাইয়া দেয়া হইতেছিলো। আমি ও একটা বহি পাইয়া তাহা গভীর মনোযোগের সহিত পর্যবেক্ষন করি। এতে অনেকেই আমার দিকে অদ্ভুত নজরে তাকাইতেছিলো।

জলত্যাগের জন্য টি এস সির দোতালায় উঠিয়া দেখিলাম বেশ দীর্ঘ লাইন। একটি ছোটরুমের আবার ছিটকানি নাই। গলা খাকারি দিয়া কাজ করিতে হয়। আমোদ পেলুম।

দোতালায় আশেপাশের রুমে উকিয়া মরিয়া দেখিলাম, গোটা ছয়েক যুবক যুবতী একই তালে ডায়লগ বলিতেছে এবং গোল হইয়া লঘু পায়ে ঘুরিতেছে। একজন বাবরী চুলের বালক খরতাল জাতীয় কি জানি বাজাইতেছে। একজনের হাতে গিটারও দেখিলাম। বুঝিলাম ইহারা সংস্কৃতি কর্মী। আমি লজ্জিত মুখে কিয়ক্ষন উঁকি মারিয়া চলিয়া আসলাম..............................

তবে আড্ডাটা ভালোই জমিয়াছিলো এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সৌজন্যে প্রচুর বিড়ি ও চা পান করে সময়টা আনন্দমুখর ভাবেই কাটাইয়াছি। আর ঢাকা ভার্সিটির নারীগন এবারো আমাকে হতাশ করে নাই।

বিস্তারিত পড়ুন...