মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১১

বুয়েটিয়ান স্মৃতি-৩


নিউটন রিং গোল কেন:
ওয়ান ওয়ানে ফিজিক্স সেসনাল। রাফিন স্যার প্রতিদিনই আমাদের ধোয়। আমাকে তো আরো বেশি কারন আমি স্যারের কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারি না। এর মধ্যে আমার বন্ধু আবুকে স্যার জিজ্ঞাসা করলো নিউটন রিং গোল কেন? এটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখন আমার মনে নাই। তবে কিছু একটা হবে।

বিস্তারিত পড়ুন...

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১১

বুয়েটিয়ান স্মৃতি-২


শাহাদাৎ:

ক্যাফেতে প্রথমদিন ঢুইকাই যে ছেলেটা আমাদের দিকে ছুইট্টা আসে তার নাম শাহাদাৎ। বরিশাল বাড়ি। লম্বা মতন। লুঙ্গি পড়া। সাদা ময়লা শার্ট। পেটের কাছে দুইটা বোতাম আছে আর নাই।
-ছার কি লাগবো?
আমি হঠাৎ কইরা স্যার ডাক শুনে বেশ পুলকিত বোধ করলাম। ভালাই লাগলো। হঠাৎ করে একটা ভাব আইয়া পড়লো। টু-ওয়ান পর্যন্ত শাহাদাৎই আমাদের সার্ভ দিতো। শাহাদাৎ পাতলা ডাইলরে বলতো ফাৎলা ডাইল। বিকালে ক্যাফের কর্ণারের বিড়ির দোকান বন্ধ হইয়া গেলে পলাশী থাইকা বিড়ি আইন্না দিত। আর শাহাদাৎ-এর কাছে তাসের পেটি থাকতো দুই তিনটা। আমাগো ইমার্জেন্সীতে সাপ্লাই দিতো।

বিস্তারিত পড়ুন...

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১১

বুয়েটিয়ান স্মৃতি-১


প্রারম্ভিক:
এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়াই বাসা- আত্মীয় স্বজন সবদিক দিয়াই চাপে পড়ছিলাম বুয়েট অথবা মেডিকেলে চান্স পাইতেই হইবো। অথচ তখন আমার মেডিকেল বা বুয়েটের পড়াশুনা বা সাবজেক্ট সম্পকে বিন্দুমাত্র ধারনা আছিলো না। পরীক্ষা শেষ হওনের এক সপ্তাহের মধ্যে ওমেকায় ভর্তি করায় দিলো। সেই থাইকা বুয়েটের সাথে পরিচয়। পরে ভাগ্যগুনে চান্স পাইলাম। তাতেও সবার মন ভরাইতে পারলাম না। আমার প্লেছ আছিলো ৩৪২। হেইডাতে সি এস সি বা ইইই কোনডাই পাই না। ইইই না হওনের মায়ের মন খারাপ। এই দিকে আবার আর্কিতে হইছি ৩২। এহন কি পরুম এইডা নিয়া ক্যাচাল লাগছে। মরার উপর খাড়ার ঘা-এর মতো রাজশাহী মেডিকেলে ও চান্স হইয়া গেছে। আত্মীয় স্বজনের মধ্যে মতোবিরোধ আমি কি পরুম হেইডা লইয়া। আমার নিজস্ব মতামত কেউ লয় না। বন্ধু বান্ধবরা হুমকি দিছে ডি ইউ -এর ভর্তি এক্সাম-এ আমারে দেখলে সেইখানেই আমার লাশ ফালাইবো।

বিস্তারিত পড়ুন...